রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মুন্সীগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের পরিচিতি সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মূল ইস্যু থেকে সরে এসে অন্যান্য ইস্যু নিয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সব কিছু নিয়ে কাজ করতে চাইলে কোনোটাই সফল হবে না। নতুন নতুন সংস্কারের প্রয়োজন নেই। কারণ জনগণ নির্বাচনের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করবে না।’

বিএনপির ৩১ দফায় সংস্কারের রূপরেখার প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, ‘এই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে কমপক্ষে ৪০টি রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। ফলে নতুন করে সংস্কারের গীতিকারের প্রয়োজন নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার হতে হবে। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করা দরকার।’

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কারো কারো কথায় শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যেহেতু আমরা সবাই একমত হয়েছি একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে, আমরা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। আপনারা যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন, একসঙ্গে বসেন, দেখেন  এ প্রস্তাবে কোন শব্দটা ভুল, কোনটা বানান ভুল। এরপর জাতির সামনে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন।’

তিনি বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের বিরাজনৈতিকীকরণের চক্রান্ত এখনো চলমান। কাউকে বিতাড়িত করে নয়, রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে হয়।’ রাজনীতিকে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়ার কালচার চলছে বলেও অভিযোগ করেন গয়েশ্বর। শুধু ছাত্ররা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় আনেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সবার আন্দোলনের ফসল।’

তিনি আরো বলেন, ‘একটা সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে, কিন্তু তাদের তো কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে না। সবাই তো আরাম-আয়েশে ঘোরাফেরা করছে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পর জাহাঙ্গীর কবির নানক ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দিয়েছেন। এই বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার করা কতটুকু যৌক্তিক?’

সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।

Leave A Reply

Exit mobile version