বাংলাদেশের টি২০ ক্রিকেটে বেহাল দশা। তা আগে থেকেই বোঝা গেছে। তবুও আশা ছিল ভালো কিছু করার। শ্রীলঙ্কার অবস্থাও যে খুবই খারাপ ছিল। তাই হলো। ঘুরে দাড়ালো বাংলাদেশ। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ১ ওভার বাকি থাকতে ২ উইকেটে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ।  

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দুই দলেরই অবস্থা বিশ্বকাপে খারাপ ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে শ্রীলঙ্কা প্রস্তুতি ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে মূল লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে। তাতেই আশা তৈরী হয়। জয় আসলেও আসতে পারে শান্ত, সাকিব, মাহমুদুল্লাহদের। বিশ্বকাপের আসল লড়াইয়ে নামার আগে বাংলাদেশও যুক্তরাষ্ট্রের পর প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি। কিন্তু মূল লড়াইয়ে নামতেই বদলে গেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, ক্রিকেটাররা। জয় মিলল।

টস জিতে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলিংটা ভালই হয়েছিল। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। বল হাতে ৩ উইকেট করে নেওয়া মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন এবং ২ উইকেট নেওয়া তাসকিন আহমেদ অসাধারণ বোলিং করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে পাথুম নিশাঙ্কা ৪৭, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ২১ রান করেন। ১২৫ রানের টার্গে‌টের জবাব দিতে নেমে তাওহীদ হৃদয়ের ৪০ ও লিটন কুমার দাসের ৩৬ রানে ১৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করে জিতে। শেষে দলকে বাঁচান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১৬*)। নুয়ান থুসারা ৪ উইকেট নেন।

বাংলাদেশের ২৮ রানেই ৩ উইকেট পড়ে ধুকতে থাকে। সেখান থেকে লিটন কুমার দাস ও তাওহীদ হৃদয় মিলে আশা দেখান। ১২তম ওভারে টানা তিন বলে তিন ছক্কা হাকান তাওহীদ। তবে এই ওভারেই দলের ৯১ রানের সময় হাসারাঙ্গার কাছে হার মানেন। এলবিডাবলিউ হয়ে যান তাওহীদ (২০ বলে ৪০ রান)। আউট হওয়ার আগে লিটনের সাথে চতুর্থ উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। আর ৮ রান স্কোরে যোগ হতেই, ৯৯ রান হতেই হাসারাঙ্গার স্পিনে বধ হন লিটনও (৩৮ বলে ৩৬ রান)। ১৫ ওভারে গিয়ে বাংলাদেশ ১০০ রান স্কোরে যোগ করে। তাওহীদ আউট হতেই যেন ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১০৯ রানের সময় সাকিবও (৮) যখন আউট হন, তখন বিপদ ঘনিয়ে আসার লক্ষণ দেখা যায়। ১১৩ রানে গিয়ে রিশাদ ও তাসকিনও আউট হলে শ্রীলঙ্কার নিয়ন্ত্রণে খেলা চলে যায়। শঙ্কা জাগে। সেখান থেকে সব শঙ্কা দুর করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১৬*) ম্যাচ জিতিয়ে দেন।

এই জয়টি বাংলাদেশকে ‘সুপার এইটে’ ওঠার পথ সহজ করে তুলল। শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর এখন দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের মধ্যে যে কোন দুটি ম্যাচ জিতলেই ‘সুপার এইটে’ উঠে যাবে বাংলাদেশ। এমনটি আর একটি ম্যাচ জিতলেও ‘সুপার এইটে’ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

Leave A Reply

Exit mobile version