ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হয়েছেন কিংবদন্তী জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট। এই সম্মান পেয়ে দারুণ খুশি, রোমাঞ্চিত অলিম্পিকে আটবারের সোনা জয়ী এই কিংবদন্তি স্প্রিন্টার। ক্রিকেট মাঠের মানুষ নন তিনি। এখানে তার পদচিহ্নও পড়েনি। কিন্তু ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান ইতিহাসের সেরা অন্যতম এই অ্যাথলেট।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোল্টকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত করার কথা জানায় বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। বিশ্বকাপের বাহক হতে পেরে বেশ রোমাঞ্চিত অলিম্পিকে আটবারের সোনা জয়ী এই স্প্রিন্টার। বোল্টের বিশ্বাস, সারা বিশ্বে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন তিনি। 

বোল্ট বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হওয়ায় আমি রোমাঞ্চিত। ক্যারিবিয়ান থেকে আমার উঠে আসা, যেখানে ক্রিকেট জীবনের একটা অংশ, খেলাটি সবসময় আমার হৃদয়ে বিশেষ এক জায়গা নিয়ে আছে। মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি আমি। বিশ্বকাপে শক্তি ও উদ্যম নিয়ে কাজ করতে এবং সারা বিশ্বে খেলাটির উন্নয়নে অবদান রাখতে উন্মুখ হয়ে আছি।’

নিজের দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্রিকেট তো আদিকাল থেকেই পরিচিত নাম। এবার কোনো বৈশ্বিক আসরের প্রথম আয়োজক হতে যাচ্ছে প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্র। বোল্ট মনে করেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের খেলাধুলার বাজারে একটা জায়গা করে নেবে ক্রিকেট। এতে ক্রিকেট খেলাটাও নতুন উচ্চতায় উঠবে।

‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যখন কোনো খেলা অনুসরণ করে, তখন মনেপ্রাণেই অনুসরণ করে এবং সর্বোচ্চটা দেয়। আমার মনে হয়, তারা যদি এটিতে (ক্রিকেট) একবার মজা পায়, তাহলে ঠিক পথেই এগোবে। আমি যেমনটা বুঝি, আমরা যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই উদ্যম আনতে পারি, তাহলে দারুণ হবে।’

দীর্ঘদিন অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেট ছিল না। এবার নতুন করে বৈশ্বিক এই ইভেন্টে যুক্ত হতে যাচ্ছে ব্যাট-বলের লড়াই। ২০২৮ সালের অলিম্পিকে ফিরবে ক্রিকেট। দীর্ঘ বিরতির পর অলিম্পিকসে ক্রিকেট ফেরায় উচ্ছ্বসিত বোল্ট, ‘একটা সোনার পদক পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। এই মঞ্চে সোনার পদক জিততে পারাটা দারুণ অনুভূতি।’

Leave A Reply

Exit mobile version