ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থান পরিবর্তন করে ভেটো দেওয়া থেকে বিরত থাকায় অবশেষে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করল।

 পর প্রস্তাবটি পাস হলো। এতে সব জিম্মির অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করা হয়েছে। অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা পরিষদ অচলাবস্থায় ছিল।

তারা যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সম্মত হতে ব্যর্থ হয়েছিল। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের ইঙ্গিত দেয়। এদিন যুক্তরাষ্ট্র ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে এবং কাউন্সিলের বাকি ১৫ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ওয়াশিংটন আগে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে পেশ করা প্রস্তাবগুলোকে অবরুদ্ধ করেছিল।

তারা মত দিয়েছিল, এ ধরনের পদক্ষেপ ভুল হবে। কারণ ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির জন্য সূক্ষ্ম আলোচনা চলছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেশটি প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তার নিজস্ব খসড়া উত্থাপন করে এবং ইসরায়েলের প্রতি তার অবস্থানের কঠোরতা চিহ্নিত করে।

গাজায় ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা নিয়ে ওয়াশিংটন ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে। অঞ্চলটির হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, সেখানে ইতিমধ্যে ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র গাজায় ত্রাণ বিতরণের জন্য আরো পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে। ভূখণ্ডের পুরো জনসংখ্যা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও মন্তব্য করেছে তারা।

এদিকে জাতিসংঘ ইসরায়েলকে সহায়তা বিতরণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে। ইসরায়েল অবশ্য জাতিসংঘকে দায়ী করে অভিযোগ করেছে, সংস্থাটি সহায়তা বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

৭ অক্টোবর গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ওপর নজিরবিহীন হামলা চালায়। ইসরায়েলের হিসাবে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। পাশাপাশি ২৫৩ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। হামাসের এই হামলার পর থেকেই যুদ্ধ শুরু হয়। সূত্র : বিবিসি

Leave A Reply

Exit mobile version