বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি

আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন নির্বাচন প্রতিরোধ করার দুঃসাহস দেখালে প্রতিরোধ করা হবে। কথার কথা নয়। এবার জনগণই উচিত শিক্ষা দিয়েছে। যেমন করে ১৯৯৬ সালে, ২০০৬ সালে, ২০০৮ সালে, ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালে শিক্ষা দিয়েছে। ২০১৮ সালে সংরক্ষিত একজনসহ ৬ জন সংসদ সদস্য ছিলেন। ফ্রাস্টেটেড হয়ে তারাও পদত্যাগ করেন। এরপর রাজপথে বিশেষ কিছু এলাকায় নেমে এমন সব অসভ্য অভদ্র অশ্লীল স্লোগান আর মিথ্যাবচন ছড়াবার চেষ্টা করে, যা ইবলিশ শয়তানও লজ্জা পায়।

মূলত বিএনপি একটি অভিশপ্ত দল। আমি একে দল পর্যন্ত বলি রাজনৈতিক দল বলতে চাইনা। তবু বলতে হয় বলি এ দলের প্রতিষ্ঠা থেকে কোন রাজনীতি নেই কোন দিন ছিল না আজও নেই। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর খুনি মিলিটারি জিয়াউর রহমানের কার্যকলাপের দিকে তাকালে বা পর্যালোচনা করলে সহজেই ধরা পড়বে এটি একটি অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল।

ক. প্রথমত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মিলিটারি জিয়া জাতির পিতা হত্যায় অংশ নিয়ে প্রথমেই যে অভিশাপ কুড়িয়েছেন তা আজও সমানভাবে চলছে। কি জঘন্য ছিল সেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রধান উপদেষ্টা। খুনিরা তাকেতো হত্যা করলোই ছোট্ট শিশু শেখ রাসেল (৯) তারও বুক জাজরা করে দিল বুলেটে বুলেটে। দুই নবপরিণীতা বধূ সুলতানা কামাল আর রোজি জামাল হাতের লাল মেহেদির সাথে বুকের রক্ত মিশে এক হয়ে গেল এবং ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে গড়াতে গড়াতে বাংলার মাঠ ঘাট জনপদ রাঙিয়ে দিল। শেখ কামাল জামাল দুজনেই আর্মি কমিশনপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ছিল যথাক্রমে ক্যাপ্টেন ও লেফটেন্যান্ট। আর্মি সদস্য হওয়াসত্বেও বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সেনাবাহিনীর কতিপয় খুনির প্রতিরোধে কেউ রাস্তায় নামেনি। এতে করে গোটা সেনাবাহিনীর কাঁধে দায় চাপবেই।

খ. অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল এজন্য যে খুনি মিলিটারি জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয় অথচ এই তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধাই রাজাকার আল বদর মুসলিম লিডারদের মানি ইজ নো প্রবলেম বলে কানে দড়ি দিয়ে বিএনপি গঠন করলো। পলাতক জামাত নেতা গোলাম আযমকে দেশে এনে রাজনীতি করতে দিলেন। একবার তার মনে জাগলো না এই লোকগুলোর সহায়তায় পাকিস্তানি জল্লাদ সেনাবাহিনী ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে, প্রায় পাঁচ লাখ মা বোনকে নির্যাতন করেছে, অনেকেই নির্যাতিত হতে হতে গর্ভবতী হয়েছে, অনেকেই শহীদ হয়েছে। এই হল অভিশপ্ত মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান।

গ. রাজাকাররা ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মাঝে গ্রাম-গঞ্জ শহরে মানুষ হত্যা করেছে মুক্তিযোদ্ধা বলে। আমাদের মা বোনদের বাড়িবাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গনিমতের মাল হিসেবে পাকিস্তানি ধর্ষক লোচ্ছাদের ক্যাম্পে সরবরাহ করেছে। এই সুযোগে রাজাকাররাও ধর্ষন করেছে। এটি যে একটি অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল এর চেয়ে বড় প্রমাণ দরকার আছে কি?

ঘ. একাত্তরে আমরা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি আমাদের ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ হয়েছে যাদের হাতে যাদের হাতে আমাদের প্রায় পাঁচ লাখ মা বোন নির্যাতিত হয়েছে সেই বদমাশদের দিয়ে মিলিটারি জিয়া বিএনপি গঠন করেছে। এই অভিশাপ থেকে বিএনপি কিভাবে মুক্তি পাবে?

ঙ. ১৯৭৭ সালের ২রা অক্টোবর জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান সে দেশের সন্ত্রাসী সংগঠন রেড আর্মি হাইজ্যাক করে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবশ্য বিমানটি ২রা অক্টোবরের পাঁচ দিন আগেই অবতরণ করেছিল। ২রা অক্টোবর এক রক্তাক্ত ক্যুর মাধ্যমে এর সুরাহা হয়। অবশ্য মিলিটারি জিয়ার আমলে ১৮ টি কু-তে অনেক আর্মি সদস্য নিহত হয়। ১৯ নং কুতে জিয়ার মৃত্যু হয় সেনা সদস্যদের হাতে। ২রা অক্টোবর জাপান এয়ারলাইন্সের বিমান হাইজ্যাকের শেষ দিন যে ক্যুটা হয়েছিল তাতে বিমান বাহিনীকে অফিসার শূন্য করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তথাকথিত রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচারের নামে ক্যাপ্টেন্যান্ট ক্যান্টনমেন্টে সামারি টায়ালের মাধ্যমে আরো শতাধিক বিমান বাহিনীর সদস্যকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। আমার এক বন্ধু তখন কুমিল্লায় ম্যাজিস্ট্রেট। ফাঁসির জন্য একজন ডাক্তার একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকতে হয়।ফাঁসি দেবার জন্য যখন তাদের মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হচ্ছিল তারা আল্লাহর নাম নিয়ে বলছিল আল্লাহ আপনি বিচার করুন আমরা কোন অপরাধ করিনি তবুও ফাঁসিতে মরতে হচ্ছে। এভাবে আটজনকে ফাঁসি দেবার পর আমার সেই ম্যাজিস্ট্রেট বন্ধু ডিসির কাছে একখান পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে বললেন তিনি আর চাকরি করবেন না। অবশ্য ডিসি তার পদত্যাগ পত্র কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠিয়ে তাকে অন্যত্র বদলি করে দিয়েছিলেন। বন্ধুর মুখে শুনেছি প্রতিরাতে এমনি মানুষের কান্না তার বুকে এসে লেগেছে। এ অভিশাপ থেকে জিয়াকে কে রক্ষা করবে।

চ. একদিকে সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছে। আরেকদিকে বঙ্গবন্ধুর নিষিদ্ধ করা মদ, জুয়া হাউজি যাত্রার নামে অশ্লীলতা জিয়া কলমের এক খোচায় আবার চালু করেছিল। এ অভিশাপ ও কম নয়।

ছ. এবার অন্য কথায় আসছি বিএনপি যে একটি অভদ্র রাজনৈতিক দল তার একটি প্রমাণ দিচ্ছি।খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেছে। শেখ হাসিনা প্রতিপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও মানবিক দিক বিবেচনা করে সমবেদনা জানাবার জন্য খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়িতে যান। বাড়ির সামনে গিয়ে শেখ হাসিনা ঢুকতে যাবেন এমন সময় ভেতর থেকে জোরে শব্দ করে দরজা বন্ধ করে দেয়া হল। এটা শুধু অভদ্রতা নয়, এটি ছোটলোকি এবং এতে প্রমাণ হয় খালেদা জিয়া কেমন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন, ক্যামন পরিবারে বড় হয়েছেন বা ক্যামন লোকের ঘরণী ছিলেন? মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া এক পাকিস্তানি জেনারেল জাঞ্জুয়ার তত্ত্বাবধানে ছিলেন বলে জিয়া তাকে ঘরে তুলছিলেন না। বিধ্বস্ত অবস্থায় তিনি এক কাপড়ে দুই সন্তানের হাত ধরে বঙ্গবন্ধু ভবনে যান এবং শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করেন। শেখ হাসিনা বঙ্গমাতাকে বললে তিনি শেখ হাসিনার শাড়ি ও বাচ্চাদের শেখ রাসেলের কাপড় দিয়ে ওয়াশ রুমে গিয়ে গোসল করে আসতে বলেন। তারপর বঙ্গমাতা নিজ হাতে তাদের খাওয়ান। পরে বঙ্গবন্ধু জিয়াকে ডেকে তার হাতে ওদের তুলে দেন। আর খালেদা জিয়া কি আচরণটা করলেন?

জ. ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তৃতাকালে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় নেত্রী আইবি রহমান সহ ২৩ জন নেতা কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত এবং ৩ শতাধিক গ্রেনেডের ইসপ্লিটারে আহত হয়ে আজও ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকার প্রথম সরাসরি নির্বাচিত মেয়র ও সিটি আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ হানিফ, বিশিষ্ট পার্লামেন্টেরিয়ান শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ইসপ্লিন্টার নিয়ে পরলোক গমন করেছেন। সেদিন বিচারপতি জয়নাল আবদীনকে দিয়ে ওয়ানম্যান কমিশন করা হয়েছিল। তিনি রিপোর্ট দিয়েছিলেন সীমান্তের ওপার থেকে (ভারত) এসে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এটি খাওয়াতে না পেরে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়। অথচ এই গ্রেনেড হামলায় প্রধান চক্রান্তকারী ছিল খালেদা পুত্র তারেক রহমান। তার হাওয়া ভবনে বসে পরিকল্পনা করা হয় এবং গ্রেনেড হামলার পর হামলাকারীরা যাতে সেফলি পালাতে পারে এজন্য পুলিশ মোতায়ন রাখা হয়।সবচেয়ে বড় এবং নোংরা এবং বর্বর ভূমিকা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। তিনি সংসদে বলেছিলেন শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে সমাবেশে গিয়েছিলেন। সেই গ্রেনেডই বিস্ফোরিত হয়েছিল। কি অসভ্য মন্তব্য। ১৩ টি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছিল। শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগের ওই ১৩ টি নিয়ে যান এটি শুনে পুরান ঢাকার ঘোড়াও হাসছিল। ১৩ টির মধ্যে একটি গ্রেনেড শুধু বিস্ফোরিত হয়নি এবং তার মাধ্যমে আল্লাহ পাক শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বাঁচিয়ে রাখেন।

ঝ. এবার বলব মিথ্যুক বিএনপির কথা। প্রথমত মিলিটারি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চক্রান্ত। বিগত ৪৮ বছর ধরে এই ভ্রান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু মানুষ জানে কে স্বাধীনতার ঘোষক কে জাতি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা পিতা। কিছুতেই জিয়াকে খাওয়াতে পারছে না। বলা হল শহীদ জিয়া, প্রশ্ন হল সেকি কোন যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে? না কিছু ক্ষুব্ধ সেনা সদস্য চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ঘুমন্ত অবস্থায় ব্রাশ ফায়ারে তাঁকে হত্যা করেছিল। কিসের শহীদ?

ঞ. এবার বিএনপির মিথ্যার কিছু বোল তুলে ধরতে চাই। খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ কখনো ৫ আগস্ট কখনো ১৯ আগস্ট আবার বঙ্গবন্ধুর কখনো শাহাদাত দিবস ১৫ আগস্ট এটি বানানো হয়েছে অনেক পরে স্যাডিষ্টিক প্লেজার উপভোগ করার জন্য। ১৫ আগস্ট ভোমা ভোমা কেক কেটে সে কি কুক্কুরী উল্লাস। ভেবেছিল শেখ হাসিনাতো আর ক্ষমতায় আসবেন না, বলেও ছিলেন বড়জোর ৩০ আসন পেতে পারে। কিন্তু ম্যান প্রফোজেজ গড ডিম্ফোজেজ অবশ্য সশিক্ষিত খালেদা জিয়া এ প্রবাদ জানবেন কি করে। শিক্ষা নিয়েও কত চুরি জোচ্চুরি। একবার বলে বিএ পর্যন্ত পড়েছে একবার বলে মেট্রিক পাস যখন এগুলো চ্যালেঞ্জ হল তখন বলা হল সশিক্ষিত।

বিএনপি যে কত বড় মিথ্যাবাদী তার একটি প্রমাণ হল রাজাকার শাহ আজিজুর রহমান। তখন ১৯৭৯ এর পার্লামেন্ট চলছে তেজগাঁও পুরানো পার্লামেন্ট ভবনে। শাহ আজিজুর প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা। তিনি প্রায়ই বক্তৃতা করেন বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে উদ্বৃতি দিয়ে। একবার তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজ অফ কমনস এর প্রসিডিংয়ের ওপর লেখা মেজ পার্লামেন্টারি প্র্যাকটিস থেকে লম্বা এক উদ্বৃতি দিলেন। সে পার্লামেন্টে আতাউর রহমান খান আসাদুজ্জামান খান আব্দুস সবুর খান অপজিশন বেঞ্চে বসতেন। আমরা তাদের পেছনে প্রেস গ্যালারিতে বসতাম। পরদিন যখন হাউজ শুরু হল প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে স্পিকার মির্জা গোলাম হাফিজ অন্য কর্মসূচীতে যাবেন এমন সময় অপজিশন বেঞ্চ থেকে আওয়ামীলীগের শ্রী সুধাংশু শেখর হালদার পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়ালেন। তার হাতে মেজ পার্লামেন্টারি প্র্যাকটিস গ্রন্থ। স্পিকার পয়েন্ট অফ অর্ডার গ্রহণ করলেন।সুধাংশু শেখর বাবু বলতে লাগলেন গতদিন সংসদ নেতা মেজ পার্লামেন্টারি প্র্যাকটিস থেকে পাতা এবং প্যারা নং সহ যে উদ্বৃতি দিয়েছেন তা সবের অসত্য। ওই পাতায় ওই পারায় যা লেখা আছে তিনি পড়ে শোনান। শাহ আজিজুর যা বলেছেন তা এর ধারে কাছেও নেই। শাহ আজিজুর রহমান তখন সংসদ নেতার আসন থেকে উঠে পেছনে দেয়ালের আড়ালে ইজি চেয়ারে বসে সিগারেট টানতে শুরু করেন। উঠে যেতে দেখে আমরা কয়েকজন সাংবাদিকও গেলাম। তিনি হাসলেন বললেন জানতে এসেছ কেন বানানো কথা বললাম? রাজনীতিতে এইসব চলে তবে ধরা পড়লেই বিপদ। এই আল্লামা সুধাংশ শেখর হালদারের (হাদিস থেকে উদ্বৃতি করে বক্তৃতা দেওয়ায় শাহ আজিজই তাকে আল্লামা টাইটেল দেন) হাতে ধরা খেয়ে গেলাম। শালা অনেক লেখাপড়া করে।

এবার উপসংহার টানব কয়েকটি অসভ্য অভদ্র বিএনপি নেতার নাম মেনশন করে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, এর বাইরে রয়েছে কতগুলো ভাড়া করা তরুণী। এরা যে ভাষায় কথা বলে সেগুলো নিষিদ্ধ পল্লীর ভাষা। সম্ভবত এদের জন্ম সেখানেই। নইলে রাজনৈতিক পক্ষ প্রতিপক্ষ ভাষাটি তারা জানে না। মির্জা ফখরুল কথায় কথায় ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার ইত্যাদি ভাষা ব্যবহার করেন। রুমিন ফারহানা নাকে মুখে মিথ্যা বলেন। বস্তুত তার পিতা এক কালে শাহ আজিজুর রহমানের সাথে রাজনীতি করেছেন মিথ্যে বলাও সেখান থেকেই শিখেছেন।

এই লোক গুলো বাংলাদেশ ভারত মোটেই সহ্য করতে পারে না। শেখ হাসিনার নাম শুনলে ওদের গায়ে আগুন জ্বলে। জ্বলার কারণও আছে। এরা সবাই রাজাকার পরিবারের সন্তান। এরা কিছুতেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রশাসন জনগণ বিশেষ করে মহীয়সী মানবতাবাদী প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী (রবীন্দ্রনাথের দেয়া নাম ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী) কি অসীম শক্তি নিয়ে আমাদের জনগণ মুজিবনগর সরকার, এক কোটি শরণার্থী, বিশেষ করে আমাদের মত তখনকার তরুণদের যুদ্ধবিদ্যা, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, গোলা বারুদ সরবরাহ এইসব ক্ষেত্রে যে ভূমিকা রেখেছিলেন তা জানেনা। জানলেও বুকের মধ্যে যে পাকিস্তানি পতাকা সেটে রেখেছে চামড়ার নিচে তার জন্য কোন ভাল কিছু ওদের মন পর্যন্ত যেতে পারে না। তাইতো তারা মিলিটারি জিয়ার মতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানের চরকে অবলম্বন করছে। কারণ জিয়ার নামের পেছনে আইয়ুব-ইয়াহিয়া টিকা জাঞ্জুয়ার নামের পেছনের মিলিটারি জেনারেল শব্দটা রয়েছে। কিন্তু ওই সব জেনারেল ফেনারেল পদ বা উর্দি বর্তমান বিশ্বে গণসচেতনতার কাছে হার মানতে মানতে ঘরে বসে গেছে। বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক নিয়ে উল্লেখিত অসভ্য অভদ্ররাতো বলেনই, তাদের সাথে সুর মিলায় কিছু সংবাদপত্র এবং বিদেশে বসে সোশ্যাল মিডিয়া বসিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যিনি রাজনীতিতে এসে এ দেশের নারীদের ভদ্রভাবে চলাফেরা শিখিয়েছেন, এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার ফোলানো চুলের ওপর শাড়ি দিয়ে মাথা ঢাকা শিখিয়েছেন, তাকে জড়িয়ে এমন সব মিথ্যে বানোয়াট অশ্লীল কথা বলেন যা আমি উচ্চারণ করতে পারবো না। কোন ভদ্র সন্তান উচ্চারণ করতে পারবেনা। যারা ঐসব রুচিহীন মন্তব্য করছেন তাদের চিনে রাখা দরকার। দেশের বাইরের পলাতক তথাকথিত সাংবাদিকদেরও। যেজন পিনাকী ভট্টাচার্য, কনক সারোয়ার, ইলিয়াস হোসেন ইত্যাদি ইত্যাদি আরও খুচরা-খাছরা অনেক।

Leave A Reply

Exit mobile version