সম্পাদক ও প্রকাশক

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি


বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘সাংবাদিক শফিক আমার সহপাঠী ও বন্ধু। তার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। একসঙ্গে ক্যাম্পাসে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করেছি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত সাংবাদিক। তাকে আমি ডেকে নিয়ে এই (চাঁদপুর-৪) আসন থেকে মনোনয়ন দিয়েছি। জানি, ফরিদগঞ্জ অবহেলিত জনপদ, আপনারা শফিক সাহেবকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠান। ফরিদগঞ্জের উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিলাম।’ সৎ, পরোপকারী, পরিশ্রমি মুহম্মদ শফিকুর রহমান এখন চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। জাতির পিতা হত্যার পর এই আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রথমবার ভোটের মাধ্যমে এমপি হয়েছেন তিনি।

তিনি ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রথম সারির কর্মী। প্রথিতযশা সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের দুইবারের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি ও দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

তিনি ‘পথে প্রান্তরে মিডিয়া লিমিটেড’ কোম্পানির চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে কোম্পানির অন্যতম প্রতিষ্ঠান ‘দৈনিক পথে প্রান্তরে’ পত্রিকার সম্পাদক। অনলাইন বাংলা ও ইংরেজি নিউজ পোর্টাল ‘সিটিজেন টাইমস বিডি ডট কমে’র সম্পাদক ও প্রকাশক তিনি। প্রস্তাবিত বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও এডিটর ইন চীফও।

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা গ্রামে বিগত শতাব্দীর মধ্যচল্লিশে বাবা মৌলভী আবদুল হালিম এবং মা আয়েশা খাতুনের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেন মুহম্মদ শফিকুর রহমান। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠাই ছিল তার কাছে বেশ উপভোগ্য। ছোটবেলা থেকেই মা, মাটি আর দেশের প্রতি তার ছিল অগাধ ভালোবাসা। গ্রামের মানুষের প্রতি ছিল বেশ টান। দেশ সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি ছিলেন আত্মপ্রত্যয়ী। তিনি বালিথুবা ইয়ুথ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রামে গ্রামে কলেরা ভ্যাকসিন, বসন্তের টিকা ইত্যাদি সেবা করেন। একই সঙ্গে পাঠাগার গড়ে তুলে ক্লাব সদস্যদের মধ্যে দেশপ্রেম ও নৈতিকতার প্রসার ঘটান।

বর্ণাঢ্য তার শিক্ষা জীবন। নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার পর চান্দ্রা মাদ্রাসায় ভর্তি হন। গ্র্যাজুয়েশন করে ফরিদগঞ্জ আলীয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল (হাদিস) পাশ করেন। এরপর চাঁদপুর কলেজ ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স, এমএ পাশ করেন। তার সহপাঠী ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, কবি নির্মলেন্দু গুণ, নূহ-উল-আলম লেনিন, নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনসহ বেশ ক’জন গুণী ব্যক্তি।
এছাড়া ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের থমসন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাংবাদিকতার ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ (সার্টিফিকেট কোর্স) অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালে ফেলোশিপ নিয়ে জাপানের টোকিও জার্নালিস্টিক ইনস্টিটিউটে ফেলোশিপ করেন। ১৯৯১ সালে জার্মানির বার্লিনের জার্নালিস্টিক ইনিস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৭০ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। মাঝে উনসত্তরের ছাত্র-গণ অভূত্থান, এরপর ৭১-এর ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ, ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হলে বিজয়ের বুকভরা সাহস নিয়ে আবার দৈনিক ইত্তেফাকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। স্টাফ রিপোর্টার, সিনিয়র রিপোর্টার ও সর্বশেষ স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট হিসেবে ৩২ বছর পর ইত্তেফাক থেকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে স্বাধীনভাবে কলাম লেখা শুরু করেন। দৈনিক আজকের কাগজ ও দৈনিক ভোরের কাগজে নিয়মিত কলাম লিখতেন। ২০০৯ সাল থেকে দৈনিক জনকণ্ঠের চতুরঙ্গ পাতায় ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতি শনিবার নিয়মিত কলাম লিখেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন মুহম্মদ শফিকুর রহমান। দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। চাঁদপুর মহকুমা বিএলএফ (মুজিব বাহিনী) লিডার আবদুল মমিন খান মাখনের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন।

ছাত্র রাজনীতির মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে আসেন তিনি। ১৯৬৫ সালে ফরিদগঞ্জের আলীয়া মাদ্রাসায় পড়াকালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৬ সালে চাঁদপুর কলেজ ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময়ই ফরিদগঞ্জ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলের ছাত্রলীগের সদস্য, সহ-সাহিত্য সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন। অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণসহ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের সরাসরি দর্শক ও শ্রোতা ছিলেন।

মুহম্মদ শফিকুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার আগ থেকেই ফরিদগঞ্জের মানুষের সুখ-দু:খের সাথে জড়িয়ে পড়েন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর ৪৫ বছরে যে সব কাজ হয়নি তা সম্পন্ন করেন। শপথ গ্রহণের পর দেখতে পান উপজেলায় বেশিরভাগ পথ কাঁচা রাস্তা। যানবাহন চলাচল দূরের কথা, পায়ে চলা পথগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ। আজ আর সে অবস্থা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুগ্রহে রাস্তা-পুল-কালভার্ট পাকা হয়েছে। আজ গাড়ি এক কোন দিয়ে শুরু করে পুরো উপজেলা ঘোরা যায়। কোথাও নামতে হয়না। তারই প্রচেষ্টায় ফরিদগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুলিশ, স্বাস্থ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনেকে চাকরী পান। বর্তমানে উটতলিতে নির্মাণাধীন ডাকাতিয়া নদীর ওপর ১০৭ কোটি টাকার পাকা ব্রিজের কাজ তাঁরই সুদীর্ঘ প্রচেষ্টার ফল। তিনি এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি ফরিদগঞ্জবাসীর পক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বহিবিশ্বের অনেক দেশ সফর করেন। তার মধ্যে রয়েছে – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুর, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রভৃতি। বেশিরভাগই শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে সফর করেন।


Editor & Publisher

Freedom Fighter Muhammad Shafiqur Rahman MP


Bangabandhu’s daughter Prime Minister Sheikh Hasina said about the brave freedom fighter Muhammad Shafiqur Rahman MP, ‘Journalist Shafiq is my classmate and friend. I did Student League politics with him in Dhaka University. Together we did anti-Ayub movement in the campus. He is a brave freedom fighter, renowned journalist. I called him and nominated him from this (Chandpur-4) seat. I know, Faridganj is a neglected township, you elect Shafiq Saheb and send him to Parliament. I took responsibility for the development of Faridganj.’

Honest, philanthropic, hardworking Muhammad Shafiqur Rahman is now the current Member of Parliament of Chandpur-4 (Faridganj) Constituency. After the assassination of the Father of the Nation, he became an MP for the first time in this constituency by voting for Awami League. He was elected as a Member of Parliament on the nomination of Bangladesh Awami League in the 11th National Parliament Elections in 2018. In the 12th national parliament election of 2024, he was elected as a member of parliament on the nomination of Bangladesh Awami League.

A first rank worker of Bangladesh Awami League. He was a famous journalist, two-time elected former president of National Press Club and two-time general secretary. He is the Chairman of Pothe Prantore Media Limited. At the same time, one of the company’s organizations is the editor of ‘Daily Pothe Prantore’ newspaper. He is the editor and publisher of online Bengali and English news portal ‘Citizen Times BD.com’. Also Chairman and Editor-in-Chief of the proposed private Citizen Television.

Muhammad Shafiqur Rahman was born in Balithuba village of Faridganj upazila of Chandpur district in the mid-forties of the last century to father Maulvi Abdul Halim and mother Ayesha Khatun. Born on 25 September 1949. Growing up in a rural environment was quite enjoyable for him. From childhood he had immense love for mother, soil and country. There was a lot of tension towards the people of the village.

He was self-confident about going ahead with the vow of service to the country. He is the founder general secretary of Balithuba Youth Club. With training, they provide cholera vaccine, spring vaccination, etc. in villages. At the same time, he spread patriotism and morality among the club members by building a library.

His educational life is colorful. After his primary education in his village, he was admitted to Chandra Madrasah. After graduation, he passed Kamil (Hadith) from Aliya Madrasa, Faridganj. After that, he passed his MA in Bangla from Chandpur College and later from Dhaka University. His classmate was Bangabandhu’s daughter Sheikh Hasina, poet Nirmalendu Goon, Nuh-ul-Alam Lenin, dramatist Salim Al Deen and many other eminent people. Besides, in 1974, he obtained higher training (certificate course) on journalism organized by England’s Thomson Foundation. In 1985, he did a fellowship at Tokyo Journalism Institute in Japan. In 1991, he received a master’s degree from the Institute of Journalism in Berlin, Germany.

He started working as a university reporter for Daily Ittefaq in 1970 while studying at Dhaka University. In between the student uprising of 1970s, then the 9-month liberation war of 1971, when the country was free from enemies on December 16, with the courage of victory, he started journalism again in Daily Ittefaq. After 32 years as staff reporter, senior reporter and lastly special correspondent, he voluntarily left Ittefaq and started writing columns independently. He used to write regular columns in daily ajker kagoj and daily bhorer kagoj. From 2009 to 2021, he wrote a regular column every Saturday in Chaturanga Page of Dainik Janakantha.

Muhammad Shafiqur Rahman was a brave freedom fighter on the battlefield in 1971. He risked his life to fight against the invading forces to liberate the country. Chandpur sub-division fought under the leadership of BLF (Mujib Bahini) leader Abdul Momin Khan Makhan. He entered politics through student politics. In 1965, while studying at Aliya Madrasa in Faridganj, he got involved in Student League politics. In 1966, he was elected as a working member of Chandpur College Student League. At that time, he was elected as the joint general secretary of Faridganj Student League. Besides, Haji Mohammad Mohsin of Dhaka University served as a member of Student League, co-literary editor and vice-president. He actively participated in the Six Point Movement. He was a direct spectator and listener of the historic March 7 speech with active participation in the Non-Cooperation Movement.

Muhammad Shafiqur Rahman was involved with the happiness and sorrows of the people of Faridganj even before he was elected as a Member of Parliament. After being elected as a member of parliament, he completed all the work that had not been done in 45 years. After taking the oath, he saw that most of the roads in the upazila were dirt roads. Vehicular movement is far away, footpaths are also dangerous. That is not the case today. Roads-bridges-culverts have been paved with the grace of Hon’ble Prime Minister. Today, the car starts from one corner and goes around the entire upazila. No need to get off anywhere. Due to his efforts, many people got jobs in primary school, police, health etc. in Faridganj. The 107-crore paved bridge over the Dakatiya River currently under construction at Uttali is the result of his long-term efforts.

He expressed gratitude on behalf of the people of Faridganj to the Honorable Prime Minister Bangabandhu daughter national pride Sheikh Hasina and the concerned ministers and ministry officials.

He visited many countries in the outer world. They include – USA, UK, India, Germany, Japan, Singapore, China, Hong Kong, Thailand, South Africa etc. Most of them traveled as Sheikh Hasina’s entourage.

Leave A Reply

Exit mobile version