সন্ধ্যার মধ্যে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল হাসান। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমকে প্রধান বিচারপতি নিজেই এ কথা জানান। পদত্যাগের দাবি উঠেছে, এ অবস্থায় আপনার সিদ্ধান্ত কী? এই প্রশ্নে প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু ফর্মালিটিজ রয়েছে। এগুলো শেষ করে সন্ধ্যার মধ্যে পদত্যাগ করবো।
সুপ্রিম কোর্ট ও বিচারপতিদের জানমাল রক্ষার স্বার্থে এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ফুলকোর্ট সভা কী উদ্দেশ্যে ডাকা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার থেকে কোর্ট চালানো যায় কি না, শুধু এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্যই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ফুলকোর্ট সভা ডাকা হয়েছিল।
এর আগে সকাল থেকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে হাইকোর্টে আসা শুরু করেন। তারা বিচারপতিদের দলবাজ দাবি করে পদত্যাগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমারা দেখেছি শত শত শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে বানচাল করার জন্য অপশক্তি, পরাজিত শক্তি চেষ্টা করছে। আমরা তাদের প্রতিহত করবো, প্রতিরোধ করবো।
তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন যে, আমাদের অ্যাপিলেট ডিভিশনের প্রধান বিচারপতি অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়ে একটা অনলাইন ক্যু করার চেষ্টা করছে। আমারা দেখেছি হাসিনার ছেলে জয় বলেছেন যে তার মা নাকি পদত্যাগ করেননি। সেক্ষেত্রে যে সরকার গঠন হয়েছে তা অবৈধ। অর্থাৎ সংবিধান লঙ্ঘন করে এ সরকার গঠন করা হয়েছে।