গত প্রায় এক মাস ধরে প্রধান অর্থনীতিবিদ ছাড়াই চলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মো. হাবিবুর রহমান গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ থেকে ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব পেয়েছেন।
তিন বছরেরও বেশি সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর। প্রধান অর্থনীতিবিদের পদ ফাঁকা হওয়ার পর এ পদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো এখনও হাবিবুর রহমানই সামাল দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক প্রধান অর্থনীতিবিদের পদ ফাঁকা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখানে নিয়োগের বিষয়টি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। প্রধান অর্থনীতিবিদ নিয়োগের বিষয়ে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক দশক ধরে প্রধান অর্থনীতিবিদ পদে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতো সংস্থায় কাজ করা এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী বাংলাদেশী নাগরিকদেরই নিয়োগ দিয়ে আসছিল।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ফয়সাল আহমেদ প্রধান অর্থনীতিবিদের পদ ছেড়ে দিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমানকে প্রধান অর্থনীতিবিদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতর থেকে নিয়োগ পাওয়া প্রথম প্রধান অর্থনীতিবিদ।
অফিসিয়াল নির্দেশনার মাধ্যমে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হাবিবুর রহমানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করলে পদটি ফাঁকা হয়ে পড়ে।
২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ হাসান জামান।
এরপর ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রধান অর্থনীতিবিদ ছিলেন কোর্টল্যান্ডের স্টেট ইউনিভার্সিটি অভ নিউইয়র্কের সহযোগী অধ্যাপক বিরূপাক্ষ পাল।
তার পরে আইএমএফের অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদকে প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।