ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন, তাই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কোনো অধিকার নেই। এমনটিই মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. ময়নুল ইসলাম। রংপুর জেলা পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সমাবেশ করার অধিকার নেই। তারা সেই চেষ্টা করলে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আইজিপি বলেন, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাকে বদলি করা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বদলি বা ক্লোজডের বিষয়টি একটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া।
কিছু পুলিশ সদস্য জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, মামলাগুলোর তদন্ত চলমান। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
নেতৃত্ব পর্যায়ে গুটিকয়েক বিপথগামী অফিসারের কারণে পুলিশ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি বলেও এ সময় মন্তব্য করেন ময়নুল ইসলাম। আইজিপি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেছে। ওই অস্ত্র তারা ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। আমরা চেষ্টা করছি এসব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা করতে।
বক্তব্য শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন আইজিপি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী।
এর আগে আইজিপি ময়নুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার মা-বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।