পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো টেস্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাদের মাঠে প্রথমবার তাদেরকে টেস্টে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২৩ বছর পর টেস্টে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে তাদের মাঠে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক এ জয়ের পর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলে বড় লাফ দিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ধাপ এগিয়ে টাইগারদের অবস্থান এখন ছয়ে।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে কখনোই হারেনি পাকিস্তান। বাংলাদেশের সেরা সাফল্য বলতে ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে ১ উইকেটের হার। যে হারের বেদনা এখনও পোড়ায় বাংলাদেশকে। অবশেষে ২০২৪ সালে এসে ঘুচল অপ্রাপ্তি। রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে বাংলাদেশ সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৫৬৫ রান তোলে। বাংলাদেশ ১১৭ রানের লিড পায়। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৪৬ রানে অলআউট হলেও জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ রান। ১০ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই প্রথম টেস্ট জয় তো বটেই, পাকিস্তানের মাটিতে তাদের বিপক্ষে যে কোনো সংস্করণেই প্রথম জয় এটি। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম যে ১৯১ রানের ইনিংস খেলেন এবং পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে যে মেহেদি হাসান মিরাজ (৪/২১) ও সাকিব আল হাসান (৩/৪৪) অসাধারণ বোলিং করেন, সেখানেই বাংলাদেশের জয় পাওয়া সহজ হয়ে যায়।
গত বছরের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের তিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ড(১টি) ও শ্রীলঙ্কার (২টি) বিপক্ষে টানা হেরে টেবিলের নয় নম্বরে নেমে যায় তারা। রাওয়ালপিণ্ডি টেস্ট জয়ের পর পরিবর্তন এসেছে পয়েন্ট টেবিলে।
৫ ম্যাচর মধ্যে তারা জিতেছে ২ টি। শ্রীলঙ্কার সমান ২৪ পয়েন্ট থাকলেও হেড টু হেডে টেবিলের ছয় নম্বরে টাইগাররা। আর শ্রীলঙ্কা আছে পাঁচে। ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ভারত। এরপরের তিনটি স্লট যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের দখলে। সাতে সাউথ আফ্রিকা, আটে পাকিস্তান আর তলানির দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।