অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টার মধ্যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন নুরজাহান বেগম। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন দুটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের দায়িত্ব। এগুলো হচ্ছে: অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এছাড়া, ড. আসিফ নজরুল পেয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আদিলুর রহমান খান পেয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়, হাসান আরিফ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, তৌহিদ হোসেন পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মিজু শারমীন এস মুরশিদ পেয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফরিদা আখতার পেয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নুরজাহান বেগম পেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, নাহিদ ইসলাম পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
নুরজাহান বেগম
১৯৭৬ সালে চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় ড. ইউনূসের প্রথম সারির সহযোগীদের একজন ছিলেন নুরজাহান বেগম। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। গ্রামীণ ব্যাংকের শুরুর ও চ্যালেঞ্জের দিনগুলোতে নুরজাহান বেগম গ্রামীণ নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তখন গ্রামীণ নারীদের বাড়ির বাইরে যাওয়া, পরপুরুষদের সঙ্গে কথা বলার এবং প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার অনুমতি ছিল না।
নুরজাহান বেগম এক দশকের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, রংপুর ও পটুয়াখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রোগ্রাম অফিসার এবং ট্রেনিং অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
নুরজাহান বেগম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সংস্থার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন এবং ২০১১ সালে ড. ইউনূস অবসর নেওয়ার পর তিনি ভারপ্রাপ্ত এমডি হন। তিনি গ্রামীণ শিক্ষার সাম্মানিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং গ্রামীণের বেশ কয়েকটি কোম্পানির পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।
নুরজাহান বেগম ২০০৮ সালে গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের সুসান এম ডেভিস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড সামিট মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস অ্যাওয়ার্ড এবং ২০০৯ সালে ভিশন অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।