ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্য হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আসিফ মাহমুদ। তিনি ছিলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক। এই যুবক দায়িত্ব পেয়েই সবাইকে জানিয়েছেন তিনি দেশের জন্য কাজ করতে চান। যতটুকু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে চান।
আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশ গঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।’ শুধু তাই নয়, আসিফ মাহমুদ আরও লিখেছেন, ‘শহিদদের রক্তের বিনিময়ে যে দায়িত্ব পেয়েছি তা পালনে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকব। ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য।’
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে হাজারও তদবির। জাতীয় পুরস্কার মনোনয়ন নিয়ে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে একই চিত্র। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দিকে সাধারণের নজর থাকে না বলে অনেক কথাই জানা যায় না। আসিফ মাহমুদ চাইছেন, তদবির মুক্ত মন্ত্রণালয় হোক। যুবকের হাতে দায়িত্ব পড়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। তার জন এটি একটি পরীক্ষা। দেশের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে এত কম বয়সে কেউ দায়িত্ব পালন করেননি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্য হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসিফ মাহমুদ নাখালপাড়া হোসেন আলী হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেছেন আসিফ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। আসিফ মাহমুদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মো. বিল্লাল হোসেন ও মাতার নাম রোকসানা বেগম। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও কলেজটির বিএনসিসি ক্লাবের প্লাটুন সার্জেন্ট ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।