কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। আর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারা ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। ১১২ মিনিটে আর্জেন্টিনার লাওতারো মার্তিনেজের একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। আর স্পেন ও ইংল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচে প্রথমার্ধে কোন গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিকো উইলিয়ামসের গোলে (১-০) স্পেন এগিয়ে গেলেও ৭৩তম মিনিটে সমতা টানেন বদলি খেলোয়াড় কোল পালমার (১-১)। পরে ম্যাচের শেষ দিকে স্পেনের বদলি খেলোয়াড় মিকেল ওয়ারজাবালের গোলে (২-১) জয় নিশ্চিত হয় স্প্যানিশদের। এই দুই দলের মধ্যকার এখন ফাইনালিসিমা ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মানে মহা-ফাইনাল হবে। আগামীবছর জুনে হতে পারে ম্যাচটি।
২০২২ সালের পর আরো একবার হবে ফাইনালিসিমা বা মহা-ফাইনাল। ইউরো কাপ জয়ী স্পেন এবং কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনার মধ্যে হবে ওই ম্যাচ। তবে এই বছর নয়, ফাইনালিসিমা হবে আগামী বছর।
১৯৮৫ সালে প্রথমবার ফাইনালিসিমা হয়েছিল। সেবার ফ্রান্স এবং উরুগুয়ে খেলেছিল সেই ম্যাচ। যে ম্যাচে উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ফ্রান্স। পরের ফাইনালিসিমা হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। ওই বছর আর্জেন্টিনা খেলেছিল ডেনমার্কের বিরুদ্ধে। টাইব্রেকারে সেই ম্যাচ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। তারপর থেকে বন্ধই ছিল এই প্রতিযোগিতা। ২০২২ সালে আবার শুরু হয়। ইটালি এবং আর্জেন্টিনা সেই ম্যাচ খেলেছিল। যে ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। অর্থাৎ, ইতিমধ্যেই দু’বার ফিনালিসিমা জিতে নিয়েছে মেসির দেশ। তৃতীয়বার সেই ট্রফি জয়ের সুযোগ আর্জেন্টিনার সামনে।
আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা আশা করছেন, পরের বছর ফাইনালিসিমা খেলবেন মেসি। তা হলে স্পেনের লামিনে ইয়ামাল সুযোগ পাবেন তার মহানায়কের বিরুদ্ধে খেলার। ইউরো কাপের ফাইনাল খেলতে নামার আগে স্পেনের তরুণ ফুটবলার বলেছিলেন, ‘আশা করব মেসি কোপা আমেরিকা জিতবে। আর আমরা ইউরো কাপ। তা হলে ফাইনালিসিমা মেসির বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাব।’
২০২২ সালে ১ জুন ফাইনালিসিমা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, ২০২৫ সালেও ওই সময় হবে এই প্রতিযোগিতা। ওই প্রতিযোগিতায় মেসিকে খেলতে দেখা গেলেও আর্জেন্টিনা পাবে না অ্যাঙ্খেল ডি মারিয়াকে। কোপা আমেরিকা জিতে তিনি অবসর নিয়েছেন।