শাকিব খানের ‘তুফান’ যে প্রেক্ষাগৃহে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। রমরমা অবস্থার মধ্যে শুক্রবার বিশ্বজুড়ে ১৫টি দেশে একযোগে মুক্তি পেয়েছে ‘তুফান’। দেশগুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইডেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, পর্তুগাল, আরব আমিরাত, বাহরাইন, কাতার ও ওমান।
‘তুফান’ যে প্রেক্ষাগৃহে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে, তা টের পেয়েছে সবাই। দেশের আধুনিক ব্যবস্থাসম্পন্ন মাল্টিপ্লেক্স থেকে সিঙ্গেল স্ক্রিন—সবখানেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রায়হান রাফীর ছবিটি। এমন বৃহৎ পরিসরে দেশে এর আগে কোনো ছবি নির্মিত হয়নি, প্রশংসার সুরে এমনটা বলছে দর্শকরা। মুক্তির দুই সপ্তাহ পেরিয়ে এখনো হাউজফুল যাচ্ছে ছবিটি।
এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সে রেকর্ড পরিমাণ ৫৬ প্রদর্শনী কিংবা অন্যান্য মাল্টিপ্লেক্সেও সর্বাধিক শোর নজির গড়েছে এই ছবি। শুধু তাই নয়, প্রথম সপ্তাহের আয়ে বাংলা ছবির সব রেকর্ডও নাকি ভেঙে দিয়েছে, দাবি সংশ্লিষ্টদের।
বিদেশের শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে জায়গা করে নিয়েছে ছবিটি। কিন্তু সংখ্যাটা ঠিক কত? পরিষ্কার হওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হয় ‘তুফান’ প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলের সঙ্গে। তিনিও ধোঁয়াশা ধরে রেখে বললেন, “নির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলছি না, কারণ প্রতিদিনই হলের সংখ্যা যোগ-বিয়োগ হচ্ছে। যেমন— দুটি হল যুক্ত হয়েছে।
এ জন্য আমরা এক শর বেশি হল বলছি। আমেরিকায় এই সপ্তাহে ২২টি হলে চলবে ‘তুফান’। তবে ১২ জুলাই হলের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে। সেভাবেই আমাদের প্ল্যান করা।”
উল্লেখ্য, ‘তুফান’-এর গল্প আবর্তিত হয়েছে নব্বইয়ের দশকের এক গ্যাংস্টার তুফান ও স্বপ্নবাজ যুবক শান্তকে ঘিরে। দুই ভূমিকাতেই অভিনয় করেছেন শাকিব খান। তাঁর সঙ্গে আছেন মাসুমা রহমান নাবিলা, মিমি চক্রবর্তী, চঞ্চল চৌধুরী, গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু, সালাহউদ্দিন লাভলু প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে আলফা আই। এর ডিজিটাল পার্টনার চরকি এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশক হিসেবে যুক্ত রয়েছে কলকাতার এসভিএফ।