ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের ভূখণ্ডে আরেকটি হামলা চালায়, তবে পরিস্থিতি ‘সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে’ এবং ‘ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না’। সেই সঙ্গে ইসরায়েলে ১৪ এপ্রিলের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের লাহোরের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও শিক্ষকদের উদ্দেশে রাইসি বলেন, সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইরান ইসরায়েলকে ‘শাস্তি’ দিয়েছে।
কনস্যুলেট হামলায় দুই উচ্চপদস্থ কমান্ডারসহ অন্তত সাত ইরানি সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়েছেন, যার জন্য তেহরান তেল আবিবকে দায়ী করেছে। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে কনস্যুলেটে হামলার দায় স্বীকার করেনি।
শুক্রবার ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইস্ফাহানে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে সেই হামলা ব্যর্থ হয়েছে বলে ইরানি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। রাইসি এদিন আরো বলেন, ইসরায়েল যদি আবারও ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়, ‘পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে এবং (ইসরায়েলি) শাসনের কিছু অবশিষ্ট থাকবে কি না তার ঠিক নেই’।
প্রেসিডেন্ট রাইসি তাঁর বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করে বলেন, দেশটিতে বাকস্বাধীনতার স্লোগান ভণ্ডামি। কারণ তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফিলিস্তিনের জনগণের ‘প্রতিরোধ’ দখলকৃত ভূমি মুক্ত করবে বলেও মন্তব্য করেন রাইসি। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি