উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেছেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার নেন তিনি। দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে এ পুরস্কার বন্যাকে দেওয়া হয়। রবীন্দ্র সঙ্গীতের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা দিয়েছে ভারত সরকার। দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে পদকটি পাওয়ার পর রাতের খাবারও উপভোগ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
তিনি পদকটি পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত। সংবাদ মাধ্যমে বন্যা জানিয়েছেন, ‘আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে পুরস্কারটা আমার কাছে ভীষণ গর্বের।’
রাষ্ট্রপতি ভবনে পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্তি অনুষ্ঠানে ভারতের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্তি উপলক্ষে প্রথমবার ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছেন তিনি। এই অভিজ্ঞতা শিল্পীর কাছে একেবারেই অন্যরকম। দারুণ প্রাপ্তির।
সবকিছু মিলিয়ে যেন দারুণ ব্যাপার ঘটে গেল। বন্যার পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্তি বাংলাদেশের সংগীতকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নেবে এবং শিল্পীদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে। আগামী প্রজন্ম বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে আশার আলো ছড়াবে বলেও মনে করছেন তিনি।
বন্যা বললেন, ‘শুধু রবীন্দ্রসংগীত নয়, আমাকে সংগীতের জন্য দেয়া হয়েছে এই পুরস্কার। আমার জন্য ভালো লাগার ব্যাপার যেমন, তেমনি অন্যরাও ভীষণ অনুপ্রাণিত হবে। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে এখন দারুণ সব কাজ হচ্ছে।’
সংগীতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০১৬ সালে তিনি অর্জন করেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সংগীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন।
গত ২৫ জানুয়ারি ভারত সরকার ২০২৪ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। সোমবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সম্মাননা সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।