জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত সচিব প্রশান্ত কুমার রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন রোববার এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের পিপি আরও বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৫ জুন সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়। প্রশান্ত কুমার রায় ২০১৬–১৭ সালের দিকে সচিব হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
সেই মামলায় প্রশান্ত কুমার রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। অপর দিকে দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রশান্ত কুমার রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহারের বিবরণ অনুযায়ী, প্রশান্ত কুমার রায় ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে সোনালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ব্যাংক ও মেঘনা ব্যাংকের ১২টি শাখায় ১৩ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৮৫০ টাকা জমা করা হয়। আর উত্তোলন করা হয়েছে ১২ কোটি ৯৮ লাখ ৭২ হাজার ১৮৩ টাকা। সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে তাঁর ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের লেনদেন অস্বাভাবিক ও অসংগতিপূর্ণ।
মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান এজাহারে উল্লেখ করেন, প্রশান্ত কুমারের দুই মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেন। দুটি ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩৫ লাখ টাকা পাঠান। পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে হুন্ডির মাধ্যমে তিনি অর্থ পাঠিয়েছেন।